ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে ধর্মঘট, মানুষের ভোগান্তি

অপরাধ দৃষ্টি
  • আপডেট সময় : ০১:১১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 98
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের এম এ খান সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। আজ সকাল থেকে জেলার বাস টার্মিনাল থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ আছে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের লামাকাজি এলাকায় রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খান সেতুর অবস্থান। ১৯৮৪ সালে ৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। আর ১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট থেকে টোল আদায় শুরু হয়।

গত সোমবার জেলার বাসমালিক ও শ্রমিকেরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই সেতু থেকে নির্মাণ ব্যয়ের কয়েক গুণ রাজস্ব আদায় হয়ে গেছে। এরপরও টোলমুক্ত হচ্ছে না সেতুটি। মূলত সড়ক বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও ইজারাদারদের ব্যবসা চালু রাখার জন্যই সেতুটিতে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। টোল আদায়ের নামে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে গত ৫ আগস্টের পর সেতুটির টোল প্লাজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতা। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে আবার টোল আদায় শুরু করেছে সড়ক বিভাগ

জেলার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি সেজাউল কবির বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার কথা, ওই সেতুর টোল আদায় বন্ধ করতে হবে। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

সেতুটির টোল আদায়কে ইজারাদার ও সড়ক বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক যাত্রী। তাঁদের একজন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামের আবদুল গণি। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেটে যাবেন বলে সকালে বাস টার্মিনালে যান। কিন্তু গিয়ে জানতে পারেন, বাস চলবে না। এখন কীভাবে সিলেট যাবেন, চিন্তায় পড়েছেন।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় যাব বলে বাসের টিকিট নিয়ে রেখেছিলাম। সকালে কাউন্টারে আসার পর বলা হচ্ছে বাস ছাড়বে না। কখন ছাড়বে, সেটিও কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে ধর্মঘট, মানুষের ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০১:১১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের এম এ খান সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। আজ সকাল থেকে জেলার বাস টার্মিনাল থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ আছে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের লামাকাজি এলাকায় রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এ খান সেতুর অবস্থান। ১৯৮৪ সালে ৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। আর ১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট থেকে টোল আদায় শুরু হয়।

গত সোমবার জেলার বাসমালিক ও শ্রমিকেরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই সেতু থেকে নির্মাণ ব্যয়ের কয়েক গুণ রাজস্ব আদায় হয়ে গেছে। এরপরও টোলমুক্ত হচ্ছে না সেতুটি। মূলত সড়ক বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও ইজারাদারদের ব্যবসা চালু রাখার জন্যই সেতুটিতে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। টোল আদায়ের নামে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে গত ৫ আগস্টের পর সেতুটির টোল প্লাজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতা। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে আবার টোল আদায় শুরু করেছে সড়ক বিভাগ

জেলার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি সেজাউল কবির বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার কথা, ওই সেতুর টোল আদায় বন্ধ করতে হবে। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

সেতুটির টোল আদায়কে ইজারাদার ও সড়ক বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক যাত্রী। তাঁদের একজন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামের আবদুল গণি। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেটে যাবেন বলে সকালে বাস টার্মিনালে যান। কিন্তু গিয়ে জানতে পারেন, বাস চলবে না। এখন কীভাবে সিলেট যাবেন, চিন্তায় পড়েছেন।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় যাব বলে বাসের টিকিট নিয়ে রেখেছিলাম। সকালে কাউন্টারে আসার পর বলা হচ্ছে বাস ছাড়বে না। কখন ছাড়বে, সেটিও কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।’