ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাগানে নিয়ে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 81
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার দোহারে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে দোহার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৮ নভেম্বর রাতে ডায়ারকুম এলাকায় ওয়াজ মাহফিল থেকে ওই তরুণী বাসায় ফিরছিলেন। পূর্বপরিচিত জাহিদ খান তাঁকে বাসায় পৌঁছে দিতে যান। এ সময় জাহিদ তাঁর দুই বন্ধু আনোয়ার হোসেন ও সোহান ব্যাপারীকে ফোন করে আসতে বলেন। তাঁরা মোটরসাইকেলে করে সেখানে উপস্থিত হন। তরুণীকে নিয়ে তাঁরা অন্য রাস্তায় একটি কাঠবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তরুণী প্রতিবাদ করলে জাহিদ তাঁর মুখ আটকে ধরেন। অন্য দুজন ওই তরুণীকে তুলে কাঠবাগানে নিয়ে যান। এরপর ওই তিনজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। তরুণী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে রেখেই ওই তিনজন পালিয়ে যান। পরদিন শনিবার ভোরে তরুণীর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি বাসায় যান। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাঁকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দোহারের শাইনপুকুর তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম (তরুণী) এখন কিছুটা সুস্থ আছেন। ঘটনায় জড়িত সোহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাগানে নিয়ে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আপডেট সময় : ১১:৫০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার দোহারে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে দোহার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৮ নভেম্বর রাতে ডায়ারকুম এলাকায় ওয়াজ মাহফিল থেকে ওই তরুণী বাসায় ফিরছিলেন। পূর্বপরিচিত জাহিদ খান তাঁকে বাসায় পৌঁছে দিতে যান। এ সময় জাহিদ তাঁর দুই বন্ধু আনোয়ার হোসেন ও সোহান ব্যাপারীকে ফোন করে আসতে বলেন। তাঁরা মোটরসাইকেলে করে সেখানে উপস্থিত হন। তরুণীকে নিয়ে তাঁরা অন্য রাস্তায় একটি কাঠবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তরুণী প্রতিবাদ করলে জাহিদ তাঁর মুখ আটকে ধরেন। অন্য দুজন ওই তরুণীকে তুলে কাঠবাগানে নিয়ে যান। এরপর ওই তিনজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। তরুণী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে রেখেই ওই তিনজন পালিয়ে যান। পরদিন শনিবার ভোরে তরুণীর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি বাসায় যান। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাঁকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দোহারের শাইনপুকুর তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম (তরুণী) এখন কিছুটা সুস্থ আছেন। ঘটনায় জড়িত সোহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।