ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিউলিপের পর যুক্তরাজ্যে এবার আলোচনায় সালমানপুত্র শায়ান

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:২২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 30
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবার যুক্তরাজ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বন্ধু শায়ান ফজলুর রহমান। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক চাপের মুখে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের পর শায়ান ফজলুর রহমানের নাম সংবাদমাধ্যমে আসায় রীতিমতো তোলপাড় চলছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শায়ান ফজলুর রহমান ব্রিটিশ রাজার হাত ধরে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা ‘ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট’র উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে। অন্যদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক হলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

তবে শায়ানের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে শায়ানের জন্ম। এই সূত্রে তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। তিনি কিংবা তার স্ত্রী কখনো কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হননি।

সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শায়ান ও স্ত্র্রী শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্ধ করেছে। শায়ান এক সময় আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনে তিনি পরিচালক পদও হারান।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শায়ান ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ‘পারিবারিক বন্ধু’। তিনি বাংলাদেশের ‘ধনকুবের’ সালমান এফ রহমানের ছেলে। টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা লন্ডনে এলে শায়ানের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িতে ‘বিনাভাড়ায়’ থাকতেন। শায়ান এক সময় তার বাবার নিয়ন্ত্রণে থাকা বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এখনো তার সেই পরিচয়ই দেখানো হচ্ছে।

ডেইলি মেইল জানায়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন শায়ান। তবে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বলেছে, আমরা শায়ানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অবগত। আমরা বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টিউলিপের পর যুক্তরাজ্যে এবার আলোচনায় সালমানপুত্র শায়ান

আপডেট সময় : ১২:২৬:২২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

এবার যুক্তরাজ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বন্ধু শায়ান ফজলুর রহমান। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক চাপের মুখে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের পর শায়ান ফজলুর রহমানের নাম সংবাদমাধ্যমে আসায় রীতিমতো তোলপাড় চলছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শায়ান ফজলুর রহমান ব্রিটিশ রাজার হাত ধরে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা ‘ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট’র উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে। অন্যদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক হলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

তবে শায়ানের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে শায়ানের জন্ম। এই সূত্রে তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। তিনি কিংবা তার স্ত্রী কখনো কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হননি।

সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শায়ান ও স্ত্র্রী শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্ধ করেছে। শায়ান এক সময় আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনে তিনি পরিচালক পদও হারান।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শায়ান ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ‘পারিবারিক বন্ধু’। তিনি বাংলাদেশের ‘ধনকুবের’ সালমান এফ রহমানের ছেলে। টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা লন্ডনে এলে শায়ানের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িতে ‘বিনাভাড়ায়’ থাকতেন। শায়ান এক সময় তার বাবার নিয়ন্ত্রণে থাকা বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এখনো তার সেই পরিচয়ই দেখানো হচ্ছে।

ডেইলি মেইল জানায়, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন শায়ান। তবে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বলেছে, আমরা শায়ানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অবগত। আমরা বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছি।