ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪

অপরাধ দৃষ্টি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / 133
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দলটির উপজেলা কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পৃথক এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত নেতা-কর্মীরা হলেন জুলফিকার আলী, মাহিন ফেরদৌস, মো. সোহাগ, আরিফুল ইসলাম। তাঁরা সবাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের অনুসারী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির দুটি আলাদা পক্ষ আছে। একটি পক্ষ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী অনুসারী। এ ছাড়া অন্য পক্ষটির নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর আবদুল গফুরের পক্ষে যোগ দেন শামীম। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারোয়ারি মন্দিরের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাত ১১টার দিকে তিনমাথা এলাকায় হারুন-অর-রশিদ নামে শামীমের এক অনুসারীকে মারধর করেন সাইফুল-হান্নানের লোকজন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বিকেলে একটি মিছিল বের করে গফুর-শামীম পক্ষের লোকজন। মিছিলটি দানেজপুর এলাকায় একটি চাতালে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হন। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যেরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাইটের চাতালে বসে আলোচনা করছিলাম। এ সময় আবদুল গফুর ও শামীম হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রেলস্টেশন সড়কে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।’

পাল্টা অভিযোগ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর বলেন, ‘মিছিলটি পৌর শহরের দানেজপুরে পৌঁছালে সাইফুলের লোকজন প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে শামীম ও সাইফুলের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। সাইফুল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের লোকজনের সহায়তায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন।’

গতকাল রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাঁচবিবিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দলটির উপজেলা কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পৃথক এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত নেতা-কর্মীরা হলেন জুলফিকার আলী, মাহিন ফেরদৌস, মো. সোহাগ, আরিফুল ইসলাম। তাঁরা সবাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের অনুসারী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির দুটি আলাদা পক্ষ আছে। একটি পক্ষ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী অনুসারী। এ ছাড়া অন্য পক্ষটির নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর আবদুল গফুরের পক্ষে যোগ দেন শামীম। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারোয়ারি মন্দিরের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাত ১১টার দিকে তিনমাথা এলাকায় হারুন-অর-রশিদ নামে শামীমের এক অনুসারীকে মারধর করেন সাইফুল-হান্নানের লোকজন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বিকেলে একটি মিছিল বের করে গফুর-শামীম পক্ষের লোকজন। মিছিলটি দানেজপুর এলাকায় একটি চাতালে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হন। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যেরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাইটের চাতালে বসে আলোচনা করছিলাম। এ সময় আবদুল গফুর ও শামীম হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রেলস্টেশন সড়কে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।’

পাল্টা অভিযোগ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর বলেন, ‘মিছিলটি পৌর শহরের দানেজপুরে পৌঁছালে সাইফুলের লোকজন প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে শামীম ও সাইফুলের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। সাইফুল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের লোকজনের সহায়তায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন।’

গতকাল রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী।