ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করতে ৯ আইনজীবীকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 113
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য নয়জন আইনজীবীকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মাহবুবুল হক মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে ৯ আইনজীবী নিয়োগ করে মামলা পরিচালনার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মামলার বাদী নওশের আলম। আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করেন। নওশের সাংবাদিক মেহেরুন রুনির ছোট ভাই।

ওকালতনামায় নয়জনের মধ্যে প্রধান আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরের নাম রয়েছে। অন্য আইনজীবীরা হলেন মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, ইকবাল হোসেন, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও মুত্তাকিন হোসাইন।

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর। তবে র‍্যাবের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। আদালত ১৫ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেছন। এর আগে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১০ বার পেছানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। হত্যার চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‍্যাব। মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দুজন জামিনে, বাকি ছয়জন কারাগারে আছেন।

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে র‍্যাব আদালতকে জানিয়েছিল, সাগর-রুনির বাসা থেকে জব্দ করা আলামতের ডিএনএ পর্যালোচনা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুজন পুরুষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতির চেষ্টা চলছে।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সম্প্রতি  বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র‍্যাব। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করতে ৯ আইনজীবীকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত

আপডেট সময় : ১১:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য নয়জন আইনজীবীকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মাহবুবুল হক মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে ৯ আইনজীবী নিয়োগ করে মামলা পরিচালনার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মামলার বাদী নওশের আলম। আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর করেন। নওশের সাংবাদিক মেহেরুন রুনির ছোট ভাই।

ওকালতনামায় নয়জনের মধ্যে প্রধান আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরের নাম রয়েছে। অন্য আইনজীবীরা হলেন মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, ইকবাল হোসেন, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও মুত্তাকিন হোসাইন।

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর। তবে র‍্যাবের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। আদালত ১৫ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেছন। এর আগে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১০ বার পেছানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। হত্যার চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‍্যাব। মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দুজন জামিনে, বাকি ছয়জন কারাগারে আছেন।

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে র‍্যাব আদালতকে জানিয়েছিল, সাগর-রুনির বাসা থেকে জব্দ করা আলামতের ডিএনএ পর্যালোচনা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুজন পুরুষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতির চেষ্টা চলছে।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সম্প্রতি  বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র‍্যাব। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।