ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৮ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা: সাভার-আশুলিয়ায় বেশির ভাগ কারখানা চালু, বন্ধ আছে ১৯টি

আহাদুল ইসলাম
  • আপডেট সময় : ১২:২২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 159
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে অধিকাংশ শিল্পকারখানার কার্যক্রম চালু হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস, টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা বৃদ্ধি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নসহ ১৮টি দফা বাস্তবায়নের মালিকপক্ষের সম্মতির পর আজ বুধবার এসব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ ও শ্রমিক নেতারা জানান, সাভার ও আশুলিয়ায় কয়েকটি কারখানায় আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় ১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি রয়েছে ৫টি কারখানায় এবং শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩(১) ধারায় ১৪টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা, তবে কিছু খাদ্য প্রস্তুত, চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতসহ অন্যান্য পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন কারখানার সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।

আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় একটি কারখানার সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান। আজ বুধবার সকালে
আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় একটি কারখানার সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান। আজ বুধবার সকালেছবি

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন  বলেন, শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা বৃদ্ধি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নসহ ১৮টি দাবি বাস্তবায়নে মালিকপক্ষের সম্মতির পর শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দাবিগুলো মানা বা বাস্তবায়নের তথ্যটি অনেক কারখানার শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের কাছ থেকে শুনতে চাইছেন। যেসব কারখানা বন্ধ বা কারখানায় শ্রমিকদের নিয়ে মালিকপক্ষের শঙ্কা রয়েছে, সেসব কারখানার মালিকপক্ষ, সরকারের প্রতিনিধি ও শ্রমিকপক্ষ মিলে আলোচনা করলে সমাধান হয়ে যাবে।

আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম  বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় আজ শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা। এ ছাড়া ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। তবে চামড়াজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কারখানাসহ অন্য তিন থেকে চারটি কারখানা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১৮ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা: সাভার-আশুলিয়ায় বেশির ভাগ কারখানা চালু, বন্ধ আছে ১৯টি

আপডেট সময় : ১২:২২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে অধিকাংশ শিল্পকারখানার কার্যক্রম চালু হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস, টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা বৃদ্ধি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নসহ ১৮টি দফা বাস্তবায়নের মালিকপক্ষের সম্মতির পর আজ বুধবার এসব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ ও শ্রমিক নেতারা জানান, সাভার ও আশুলিয়ায় কয়েকটি কারখানায় আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় ১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি রয়েছে ৫টি কারখানায় এবং শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩(১) ধারায় ১৪টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা, তবে কিছু খাদ্য প্রস্তুত, চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতসহ অন্যান্য পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন কারখানার সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।

আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় একটি কারখানার সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান। আজ বুধবার সকালে
আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় একটি কারখানার সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান। আজ বুধবার সকালেছবি

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন  বলেন, শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা বৃদ্ধি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নসহ ১৮টি দাবি বাস্তবায়নে মালিকপক্ষের সম্মতির পর শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দাবিগুলো মানা বা বাস্তবায়নের তথ্যটি অনেক কারখানার শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের কাছ থেকে শুনতে চাইছেন। যেসব কারখানা বন্ধ বা কারখানায় শ্রমিকদের নিয়ে মালিকপক্ষের শঙ্কা রয়েছে, সেসব কারখানার মালিকপক্ষ, সরকারের প্রতিনিধি ও শ্রমিকপক্ষ মিলে আলোচনা করলে সমাধান হয়ে যাবে।

আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম  বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় আজ শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা। এ ছাড়া ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। তবে চামড়াজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কারখানাসহ অন্য তিন থেকে চারটি কারখানা রয়েছে।