ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী, ভোরে শ্মশান থেকে লাশ উদ্ধার

অপরাধ দৃষ্টি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 117
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুরে বাবলু ঘোষ (৪২) নামের একজন ব্যবসায়ীর লাশ শ্মশান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বায়সা শ্মশান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাবলু ঘোষের বাড়ি উপজেলার রায়সা গ্রামে। কেশবপুর শহরের ধান হাটায় তাঁর মুদিদোকান আছে। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের ডিলার ছিলেন তিনি।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাবলু ঘোষ গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ ভোরে বায়সা শ্মশানে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তাঁরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

বাবলু ঘোষের ভাই মন্টু ঘোষ বলেন, তাঁর দাদা (বাবলু) ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ জন্য তিনি হতাশ ও অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। তবে তিনিও বিভিন্ন লোকের কাছে বড় অঙ্কের টাকা পেতেন।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক লিটন কুমার দাস জানান, নিহত ব্যক্তির গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কীটনাশক পান করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। বাবলু ঘোষের প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা দেনা আছে। এ কারণে তিনি হয়তো আত্মহত্যা করতে পারেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী, ভোরে শ্মশান থেকে লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১২:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

যশোরের কেশবপুরে বাবলু ঘোষ (৪২) নামের একজন ব্যবসায়ীর লাশ শ্মশান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বায়সা শ্মশান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাবলু ঘোষের বাড়ি উপজেলার রায়সা গ্রামে। কেশবপুর শহরের ধান হাটায় তাঁর মুদিদোকান আছে। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের ডিলার ছিলেন তিনি।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাবলু ঘোষ গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ ভোরে বায়সা শ্মশানে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তাঁরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

বাবলু ঘোষের ভাই মন্টু ঘোষ বলেন, তাঁর দাদা (বাবলু) ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ জন্য তিনি হতাশ ও অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। তবে তিনিও বিভিন্ন লোকের কাছে বড় অঙ্কের টাকা পেতেন।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক লিটন কুমার দাস জানান, নিহত ব্যক্তির গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কীটনাশক পান করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। বাবলু ঘোষের প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা দেনা আছে। এ কারণে তিনি হয়তো আত্মহত্যা করতে পারেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।