ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালিবাগে চার হত্যা: আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ ইকবালসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / 94
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর মালিবাগে ২৩ বছরের বেশি সময় আগে বিএনপির মিছিলে গুলি করে চারজনকে হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ জনের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর ওই মামলা থেকে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ ইকবাল, শাওনসহ ১৫ জনকে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতির পৃথক আদেশ বাতিল চেয়ে ওই মামলার বাদী তৎকালীন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধা গত ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদনটি করেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল করিম।

আদেশের পর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম  বলেন, অব্যাহতি বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মতামত আদেশে উল্লেখ করা হয়নি। পটপরিবর্তনের পর মামলার বাদী ইউনুস মৃধা ২০১০ সালের দুটি আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনটি করেন।

আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই দুটি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। ১৫ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলবে।

২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মালিবাগে হরতাল চলাকালে তৎকালীন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ইকবালের নেতৃত্বে মিছিল থেকে বিএনপির মিছিলে গুলি চালানো হয়। এতে বিএনপির চার কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন। ইউনুস মৃধা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। দুটি মামলা একীভূত হয়। মামলায় ওই বছরের ১২ জুলাই ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অধিকতর তদন্ত করে ডিবি পুলিশ ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আগের ছয়জন এবং নতুন করে ইকবাল, শাওনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ ইকবাল, শাওনসহ ১৫ জনকে অব্যাহতি দেন। এই আদেশ দুটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ইউনুস মৃধা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মালিবাগে চার হত্যা: আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ ইকবালসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মালিবাগে ২৩ বছরের বেশি সময় আগে বিএনপির মিছিলে গুলি করে চারজনকে হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ জনের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর ওই মামলা থেকে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ ইকবাল, শাওনসহ ১৫ জনকে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতির পৃথক আদেশ বাতিল চেয়ে ওই মামলার বাদী তৎকালীন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধা গত ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদনটি করেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল করিম।

আদেশের পর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম  বলেন, অব্যাহতি বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মতামত আদেশে উল্লেখ করা হয়নি। পটপরিবর্তনের পর মামলার বাদী ইউনুস মৃধা ২০১০ সালের দুটি আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনটি করেন।

আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই দুটি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। ১৫ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলবে।

২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মালিবাগে হরতাল চলাকালে তৎকালীন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ইকবালের নেতৃত্বে মিছিল থেকে বিএনপির মিছিলে গুলি চালানো হয়। এতে বিএনপির চার কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন। ইউনুস মৃধা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। দুটি মামলা একীভূত হয়। মামলায় ওই বছরের ১২ জুলাই ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অধিকতর তদন্ত করে ডিবি পুলিশ ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আগের ছয়জন এবং নতুন করে ইকবাল, শাওনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ ইকবাল, শাওনসহ ১৫ জনকে অব্যাহতি দেন। এই আদেশ দুটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ইউনুস মৃধা।