ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবন বন্যার্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / 146
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিন যত গড়াচ্ছিল, বৃহত্তর নোয়াখালীর বন্যার পরিস্থিতি ততই নাজুক হচ্ছিল। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ, বয়োজ্যেষ্ঠ, সবারই ঝুঁকি বাড়ছিল। এই অবস্থায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এক হন। সিদ্ধান্ত হয়, সমস্যার ধরন অনুযায়ী বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকবেন তাঁরা।

২১ আগস্ট থেকে শুরু হয় কাজ। অর্থ সংগ্রহে যুক্ত হয় একদল। অন্য দল ক্যাম্পাসের আশপাশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে—কোথায়-কতটুকু ত্রাণ লাগবে, আশ্রয়কেন্দ্রে কতজনকে নিতে হবে ইত্যাদি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে; যেমন বাংলাবাজার, সোনাপুর, মাইজদী এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়।

ফেনীতেও দুটি দল পাঠান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মুবদী ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবন বন্যার্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেড় শ’র বেশি বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৩টি শিশু, ৪ জন অন্তঃসত্ত্বা, ১১৭ জন বয়স্ক মানুষ ও একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী আছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও ভবন খুলে দেওয়া হবে। এভাবে ক্রমান্বয়ে কাজের পরিসর বাড়ানো হচ্ছে।’

ক্যাম্পাসের আশপাশে ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে; যেমন বাংলাবাজার, সোনাপুর, মাইজদী এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসের আশপাশে ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে; যেমন বাংলাবাজার, সোনাপুর, মাইজদী এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ছবি: সংগৃহীত

উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ, পর্যবেক্ষণ, ইত্যাদি কাজে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়। অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার জন্য কাজ করেছেন আরও ১০০ জন। সংকট না কাটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবন বন্যার্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে’

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

দিন যত গড়াচ্ছিল, বৃহত্তর নোয়াখালীর বন্যার পরিস্থিতি ততই নাজুক হচ্ছিল। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ, বয়োজ্যেষ্ঠ, সবারই ঝুঁকি বাড়ছিল। এই অবস্থায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এক হন। সিদ্ধান্ত হয়, সমস্যার ধরন অনুযায়ী বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকবেন তাঁরা।

২১ আগস্ট থেকে শুরু হয় কাজ। অর্থ সংগ্রহে যুক্ত হয় একদল। অন্য দল ক্যাম্পাসের আশপাশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে—কোথায়-কতটুকু ত্রাণ লাগবে, আশ্রয়কেন্দ্রে কতজনকে নিতে হবে ইত্যাদি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে; যেমন বাংলাবাজার, সোনাপুর, মাইজদী এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়।

ফেনীতেও দুটি দল পাঠান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মুবদী ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবন বন্যার্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেড় শ’র বেশি বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৩টি শিশু, ৪ জন অন্তঃসত্ত্বা, ১১৭ জন বয়স্ক মানুষ ও একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী আছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও ভবন খুলে দেওয়া হবে। এভাবে ক্রমান্বয়ে কাজের পরিসর বাড়ানো হচ্ছে।’

ক্যাম্পাসের আশপাশে ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে; যেমন বাংলাবাজার, সোনাপুর, মাইজদী এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসের আশপাশে ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে; যেমন বাংলাবাজার, সোনাপুর, মাইজদী এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ছবি: সংগৃহীত

উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ, পর্যবেক্ষণ, ইত্যাদি কাজে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়। অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার জন্য কাজ করেছেন আরও ১০০ জন। সংকট না কাটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।