বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তা কারাগারে

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
- আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
- / 91
পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ মিসরীয় বিমান ভাড়ায় এনে সরকারের ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিরা উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-বিমানের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার (অব.) মো. জাহিদ হোসেন, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস ও সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এসএ সিদ্দিক)।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং এজাহারভুক্ত ২৩ জনের মধ্যে ১৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন।
পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।