ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে সাবেক হুইপ-এমপিসহ ৩৫ জনের নামে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 126
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামছুল আলমসহ ৩৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১১০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ মোরসালিন হোসেন (২০) বাদী হয়ে গত শুক্রবার জয়পুরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন। মোরসালিন জয়পুরহাট সদর উপজেলার হালহট্টি গ্রামের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম (বেনু), জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কুমার সাহা, জয়পুরহাট মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুরাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোরশেদ আলী (৩৮), সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল দেওয়ান, জেলা পরিষদের সদস্য আবু সাঈদ আল মাহবুব চন্দন (৪৭) প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে জয়পুরহাট শহরে সমাবেশে যোগ দেন মোরসালিন হোসেন। সার্কিট হাউস মাঠে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সামছুল আলমের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেন। আসামি হামিম মোল্লার হাতে থাকা শটগান দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছোঁড়া হয়। এতে মোরসালিন গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় ৯০ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর জখম হন।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির গতকাল শনিবার রাতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে হতাহত ও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্য চারটি আদালতে ও পাঁচটি জয়পুরহাট সদর থানায়। দুটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করা হয়েছে। ৯টি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১ হাজার ১৯৬। জয়পুরহাটের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সদ্য অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান-মেয়র ও সাতজন সাংবাদিকের নাম আসামির তালিকায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে সাবেক হুইপ-এমপিসহ ৩৫ জনের নামে মামলা

আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জয়পুরহাটে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামছুল আলমসহ ৩৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১১০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ মোরসালিন হোসেন (২০) বাদী হয়ে গত শুক্রবার জয়পুরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন। মোরসালিন জয়পুরহাট সদর উপজেলার হালহট্টি গ্রামের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম (বেনু), জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কুমার সাহা, জয়পুরহাট মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুরাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোরশেদ আলী (৩৮), সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল দেওয়ান, জেলা পরিষদের সদস্য আবু সাঈদ আল মাহবুব চন্দন (৪৭) প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে জয়পুরহাট শহরে সমাবেশে যোগ দেন মোরসালিন হোসেন। সার্কিট হাউস মাঠে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সামছুল আলমের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেন। আসামি হামিম মোল্লার হাতে থাকা শটগান দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছোঁড়া হয়। এতে মোরসালিন গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় ৯০ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর জখম হন।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির গতকাল শনিবার রাতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে হতাহত ও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্য চারটি আদালতে ও পাঁচটি জয়পুরহাট সদর থানায়। দুটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করা হয়েছে। ৯টি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১ হাজার ১৯৬। জয়পুরহাটের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সদ্য অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান-মেয়র ও সাতজন সাংবাদিকের নাম আসামির তালিকায় রয়েছে।