ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানা থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / 140
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কচুরিপানায় ভর্তি গভীর খালের পাড়ে কাজ করছিলেন ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বেলাল হোসেন (৩৮)। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পানিতে ঝাঁপ দেন। পুলিশও ঝাঁপ দেয় খালের পানিতে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার মধ্য থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি দেখতে খালের দুই পাড়ে শত শত মানুষ ভিড় করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার মো. বেলাল হোসেন মির্জাগঞ্জ থানায় করা একটি ধর্ষণ মামলার আসামি। গত জুলাই মাসে বেলাল হোসেন ও বশির উদ্দিনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেন এক নারী। মামলার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল বিকেলে আসামি বেলাল নিজ গ্রামের একটি খালের পাড়ে কাজ করছিলেন। এ খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে মেহেদী হাসান নামের একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে খালপাড়ে যান মির্জাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়েন বেলাল। তাঁকে ধরতে এই পুলিশ সদস্যরাও খালে ঝাঁপ দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এসআই মো. এনামুল হক  বলেন, ‘আসামি বেলাল দূর থেকে আমাদের চিনতে পেরে খালে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। সে খুব চালাক প্রকৃতির লোক। তাকে কচুরিপানার মধ্যে থেকে ধরতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে গেছে।’

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম আহম্মেদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পুলিশ দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানা থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০১:২৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

কচুরিপানায় ভর্তি গভীর খালের পাড়ে কাজ করছিলেন ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বেলাল হোসেন (৩৮)। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পানিতে ঝাঁপ দেন। পুলিশও ঝাঁপ দেয় খালের পানিতে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার মধ্য থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি দেখতে খালের দুই পাড়ে শত শত মানুষ ভিড় করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার মো. বেলাল হোসেন মির্জাগঞ্জ থানায় করা একটি ধর্ষণ মামলার আসামি। গত জুলাই মাসে বেলাল হোসেন ও বশির উদ্দিনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেন এক নারী। মামলার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল বিকেলে আসামি বেলাল নিজ গ্রামের একটি খালের পাড়ে কাজ করছিলেন। এ খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে মেহেদী হাসান নামের একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে খালপাড়ে যান মির্জাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়েন বেলাল। তাঁকে ধরতে এই পুলিশ সদস্যরাও খালে ঝাঁপ দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এসআই মো. এনামুল হক  বলেন, ‘আসামি বেলাল দূর থেকে আমাদের চিনতে পেরে খালে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। সে খুব চালাক প্রকৃতির লোক। তাকে কচুরিপানার মধ্যে থেকে ধরতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে গেছে।’

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম আহম্মেদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।