ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ৫ বছর বহাল ও ১০ বছর বাড়ানো সাজার রায় স্থগিত

অপরাধ দৃষ্টি নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 108
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। পৃথক রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। ফলে রায়ের বিরুদ্ধে এখন খালেদা জিয়া আপিল করার অনুমতি পেলেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে দেওয়া ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল এবং সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক লিভ টু আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

পৃথক লিভ টু আপিলের ওপর গতকাল রোববার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ আদেশের জন্য দিন রাখেন। ঘোষিত আদেশে আদালত বলেন, লিভ মঞ্জুর করা হলো। উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল  বলেন, ‘সাজাসংক্রান্ত উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এই আদেশ দেওয়া হয়। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আপিলের ওপর শুনানি হবে।’

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান।

আদেশের সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গত ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। হাইকোর্টে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া আপিলটি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ৫ বছর বহাল ও ১০ বছর বাড়ানো সাজার রায় স্থগিত

আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। পৃথক রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। ফলে রায়ের বিরুদ্ধে এখন খালেদা জিয়া আপিল করার অনুমতি পেলেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে দেওয়া ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল এবং সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক লিভ টু আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

পৃথক লিভ টু আপিলের ওপর গতকাল রোববার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ আদেশের জন্য দিন রাখেন। ঘোষিত আদেশে আদালত বলেন, লিভ মঞ্জুর করা হলো। উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল  বলেন, ‘সাজাসংক্রান্ত উভয় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এই আদেশ দেওয়া হয়। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আপিলের ওপর শুনানি হবে।’

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান।

আদেশের সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গত ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। হাইকোর্টে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া আপিলটি করেন।